বৈদ‍্যুতিক চুল্লীর উদ্বোধনে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

25th January 2021 7:19 pm হুগলী
বৈদ‍্যুতিক চুল্লীর উদ্বোধনে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সোমবার হুগলীর কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দধাম বৈদ্যুতিক চুল্লি শুভ উদ্বোধন করলেন নগরায়ন এবং পৌর বিষয়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বামী লোকোত্তরানন্দজি,  মহারাজ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন কামারপুকুর ।এটির উদ্বোধন করে ফিরহাদ হাকিম বলেন যত মত তত পথ ঠাকুর বলে গিয়েছিলেন এর থেকে বড় ধর্ম নিরপেক্ষতার থেকে বড় যুক্তি আর পৃথিবীর মধ্যে আছে কি নাতাই আমি মনে করি। তাই ঠাকুর যেখানে জন্মেছিলেন সেই কামারপুকুর আমার কাছে তীর্থস্থান এই তীর্থস্থান এসে আমি খুবই আনন্দিত। ঠাকুরের হয়তো পুঁথিগত বিদ্যা কতটা ছিল না কিন্তু তার যে সমস্ত বাণী আজকে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে কোটি টাকার মবস্তু মহার্ঘ বস্তু। এক বিঘা জমির উপর প্রকল্প নির্মাণ ব্যয় হয়েছে 3 কোটি 39 লাখ টাকা খরচ করে এটি নির্মাণ করা হয়। এর ফলেস্থানীয় এলাকার মানুষের উপকার হবে।প্রবীরদার এমএলএ সিপ করা হয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে যা কিছু পাওয়ার সবই পাওয়া গেছে এখন হয়তো তাই উনি অন্য দলে যাচ্ছেন। আর আজকে কেন উনি মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হননি  সে ব্যাপারে আমি কি করে বলব ।এই ভাবেই তৃণমূল বিধায়ক ঘোষালের মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত নিয়ে তার বক্তব্য ব্যক্ত করলেন  মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।আজ গোঘাটে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করতে এসে ফিরহাদ হাকিম বলেন যদি কেউ যে পাতে খায় সেই পাত সরিয়ে আবার অন্য পথে  কেউ খেতে বসেন তাহলে কি আর করা যাবে তবে এটাও ঠিক এর ফলে তৃণমূলের কিছুই যায় আসে না তৃণমূল যেমন ছিল তেমন থাকবে এবং আরো বেশী শক্তিশালী হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।